রামগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যে; অসহায় সাধারন মানুষ

রামগঞ্জ পৌর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম, সিমাহীন দূর্ণীতি ও কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্যের ফলে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
একটি মহলের সহযোগিতায় বর্তমানে রামগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি পরিনত হয়েছে ঘুষের আখড়ায়। দলিল লেখকদের কাছ থেকে সাব-রেজিষ্টার মোঃ আশ্রাফ উজ জামান ভূইয়ার নির্দেশমত নকল নবিশ জহির জহিরুল ইসলাম কমিশনের নামে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন লেখক ঘুষ কম দিতে চাইলে সাব-রেজিষ্টার উক্ত লেখকের দলিল রেজিষ্ট্রি করতে কৌশলে নানান ত্রুটি বিচ্ছুতির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই দলিল রেজিষ্ট্রি না করে লেখককে ভোগান্তিতে ফেলেন, এমনকি লেখকের সনদ বাতিলের হুমকী প্রদান করে। এতে করে এ অনিয়ম প্রকাশে কোন লেখক ভয়ে প্রতিবাদ করছেনা। সাব কবলা, হেবার ঘোষনা পত্র, বায়নানামা, অংশনামা, এওয়াজনামা, আমোক্তারনামাসহ সব ধরনের দলিলে মৌজার মূল্য হিসাব করে মোট টাকার উপর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়, এবং সকল প্রকার দলিলে মৌজার মূল্য হিসাব করে মোট মূল্যের উপর সাব রেজিষ্টারের কমিশন হিসাব করে শতকরা পয়েন্ট ৭ টাকা হারে আদায় করা হয়।
সাব কবলা দলিলে শতকরা ১০ টাকা ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। সাব রেজিষ্টারের ছত্র ছায়ায় দলিল লেখক সমিতি কোন প্রকার সই, স্বাক্ষর ও সীল বিহীন একটি তালিকার মাধ্যমে শতকরা পনের টাকা থেকে বিশ টাকা পর্যন্ত গ্রাহকের কাছ থেকে দলিল লেখকদের মাধ্যমে আদায় করাচ্ছেন। কোন দলিল লেখক যদি সই, স্বাক্ষর ও সীল বিহীন তালিকার থেকে কম টাকা গ্রহন করে তাহলে ঐ লেখকের কম গ্রহনকৃত টাকার দ্বিগুন পরিমান টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০ মে থেকে এ পর্যন্ত দলিল লেখক জাহিদ হোসেন, জাকির হোসেনসহ ৮ জন লেখকের নিকট থেকে তালিকার হিসাব থেকে কম টাকা গ্রহন করায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এবং জরিমানাকৃত টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
হিসাব মতে ২০১৪ ইং সনের জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত তিন হাজার পাঁচশত দলিল রেজিষ্ট্রি বাবদ কয়েককোটি টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করা হয়েছে।
নকল নবিশ জহির জহিরুল ইসলাম ১৯৭৬ সাল থেকে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত থেকে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ২০১৩ইং সনে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি তদন্ত করতে আসলে জহিরুল ইসলাম তদন্তকারী দলের কাছে তিনি ঘূষ আদায় করেন না মর্মে লিখিত দেন এবং সাব-রেজিষ্টার ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অবগত নয় বলে যানান।
এই প্রতিবেদকের কাছে নকল নবিশ জহিরুল ইসলাম কমিশনের নামে ঘুষ আদায়ের কথা স্বীকার করে সাব-রেজিষ্টারের নির্দেশ পালন করছেন বলে জানান।
এবিষয়ে সাব-রেজিষ্টার মোঃ আশ্রাফ উজ জামান ভূইয়ার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং কোন বক্তব্য দিতে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে কথা শেষ বলে চলে যান।
তার বক্তব্য নেয়ার কিছুক্ষন পর পরই স্থানীয় একটি মহল উক্ত রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ প্রদান করে জানান, পত্রিকায় লিখলে কিছুই হবে না। তার’চে ভালো উনার সাথে (সাব রেজিষ্টার) সুসম্পর্ক বজায় রাখুন, আপনিও লাভবান হবেন।
Created at 2014-05-30 09:05:53
Back to posts
UNDER MAINTENANCE
রামগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যে; অসহায় সাধারন মানুষ

রামগঞ্জ পৌর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম, সিমাহীন দূর্ণীতি ও কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্যের ফলে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
একটি মহলের সহযোগিতায় বর্তমানে রামগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি পরিনত হয়েছে ঘুষের আখড়ায়। দলিল লেখকদের কাছ থেকে সাব-রেজিষ্টার মোঃ আশ্রাফ উজ জামান ভূইয়ার নির্দেশমত নকল নবিশ জহির জহিরুল ইসলাম কমিশনের নামে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন লেখক ঘুষ কম দিতে চাইলে সাব-রেজিষ্টার উক্ত লেখকের দলিল রেজিষ্ট্রি করতে কৌশলে নানান ত্রুটি বিচ্ছুতির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই দলিল রেজিষ্ট্রি না করে লেখককে ভোগান্তিতে ফেলেন, এমনকি লেখকের সনদ বাতিলের হুমকী প্রদান করে। এতে করে এ অনিয়ম প্রকাশে কোন লেখক ভয়ে প্রতিবাদ করছেনা। সাব কবলা, হেবার ঘোষনা পত্র, বায়নানামা, অংশনামা, এওয়াজনামা, আমোক্তারনামাসহ সব ধরনের দলিলে মৌজার মূল্য হিসাব করে মোট টাকার উপর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়, এবং সকল প্রকার দলিলে মৌজার মূল্য হিসাব করে মোট মূল্যের উপর সাব রেজিষ্টারের কমিশন হিসাব করে শতকরা পয়েন্ট ৭ টাকা হারে আদায় করা হয়।
সাব কবলা দলিলে শতকরা ১০ টাকা ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। সাব রেজিষ্টারের ছত্র ছায়ায় দলিল লেখক সমিতি কোন প্রকার সই, স্বাক্ষর ও সীল বিহীন একটি তালিকার মাধ্যমে শতকরা পনের টাকা থেকে বিশ টাকা পর্যন্ত গ্রাহকের কাছ থেকে দলিল লেখকদের মাধ্যমে আদায় করাচ্ছেন। কোন দলিল লেখক যদি সই, স্বাক্ষর ও সীল বিহীন তালিকার থেকে কম টাকা গ্রহন করে তাহলে ঐ লেখকের কম গ্রহনকৃত টাকার দ্বিগুন পরিমান টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০ মে থেকে এ পর্যন্ত দলিল লেখক জাহিদ হোসেন, জাকির হোসেনসহ ৮ জন লেখকের নিকট থেকে তালিকার হিসাব থেকে কম টাকা গ্রহন করায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এবং জরিমানাকৃত টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
হিসাব মতে ২০১৪ ইং সনের জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত তিন হাজার পাঁচশত দলিল রেজিষ্ট্রি বাবদ কয়েককোটি টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করা হয়েছে।
নকল নবিশ জহির জহিরুল ইসলাম ১৯৭৬ সাল থেকে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত থেকে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ২০১৩ইং সনে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি তদন্ত করতে আসলে জহিরুল ইসলাম তদন্তকারী দলের কাছে তিনি ঘূষ আদায় করেন না মর্মে লিখিত দেন এবং সাব-রেজিষ্টার ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অবগত নয় বলে যানান।
এই প্রতিবেদকের কাছে নকল নবিশ জহিরুল ইসলাম কমিশনের নামে ঘুষ আদায়ের কথা স্বীকার করে সাব-রেজিষ্টারের নির্দেশ পালন করছেন বলে জানান।
এবিষয়ে সাব-রেজিষ্টার মোঃ আশ্রাফ উজ জামান ভূইয়ার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং কোন বক্তব্য দিতে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে কথা শেষ বলে চলে যান।
তার বক্তব্য নেয়ার কিছুক্ষন পর পরই স্থানীয় একটি মহল উক্ত রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ প্রদান করে জানান, পত্রিকায় লিখলে কিছুই হবে না। তার’চে ভালো উনার সাথে (সাব রেজিষ্টার) সুসম্পর্ক বজায় রাখুন, আপনিও লাভবান হবেন।
Created at 2014-05-30 09:05:53
Back to posts
UNDER MAINTENANCE
রিপোর্ট টি শত ভাগ সত্য। আমার বাড়ি রামগঞ্জ আমার জানা মতে অনেকেই এর শিকার হয়েছে। ধন্যবাদ রিপোর্ট টি করার জন্য।